দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নামকরণ হোক শান্তিগঞ্জই
মনসুর আলম:: একটানা ষোল বছর গ্রামে যাইনা, এলাকায়
যোগাযোগ নেই, পেটের দায়ে বিদেশে পরে আছি। এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি, পরিবেশ
সম্পর্কে সম্পূর্ন অজ্ঞাত যদিও আর্থসামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট
একবারেই পরিষ্কার। বর্তমান সম্বল বলতে সামাজিক মাধ্যম এবং বিভিন্ন সংবাদ
মাধ্যম থেকে প্রচারিত তথ্য উপাত্ত যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। এত কম
জ্ঞান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়ে মতামত দেওয়া মূর্খতারই শামিল। অবশ্য
ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের মূল্যবান মতামত থেকে বিস্মৃত স্মৃতি কিছুটা হলেও জাগ্রত
হয়েছে এবং সমসাময়িক অবস্থা সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা পাচ্ছি – এবিষয়ে আমার
ঘনিষ্ঠ ব্যাংকার বন্ধু এবং প্রভাষক বন্ধুর মতামত আমাকে যথেষ্ট উদ্বেলিত
করেছে।
বর্তমান সময়ে বেশ আলোচিত এই টপিক নিয়ে যেকোনো আলোচনা, পর্যালোচনা, পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ছি এবং নিজেকে সমৃদ্ধ করার প্রয়াস চালু রেখেছি। এসম্পর্কে আমার নিজস্ব কোন বিশ্লেষণ নেই, কারণ আগেই ব্যাখ্যা করেছি।আমি শুধু দুটি বিষয়ে একটু ক্রিটিক্যাল এনালাইসিস বা বুদ্ধিভিত্তক পর্যালোচনার অনুরোধ রাখবো, সবাইকে, উন্মুক্তভাবে। এক – আসলে বৃহদায়তনের কোন প্রতিষ্ঠান/ দপ্তরকে ভেঙে আলাদা করা হয় কেন? সেবার মান উন্নয়ন, সেবাকে সহজলভ্য করার উদ্দেশ্যে। যেহেতু আয়তন ভিত্তিক কোন প্রতিষ্ঠানের সেবা মানুষের দোড়গোরায় পৌঁছে দেবার লক্ষ্যেই ভেঙ্গে ছোট করা হয় যাতে সার্ভিস ডেলিভারি হাতের নাগালে পাওয়া যায়, জনগণের যাতায়াত সহজসাধ্য হয়, সেহেতু এর শুরুতেই খন্ডিত অংশের স্বতন্ত্র নামকরণ, আত্মপরিচয় ইত্যাদি স্পষ্ট করে করা উচিৎ।
সুনামগঞ্জ উপজেলাকে যখন দু’ভাগে বিভক্ত করা হল তখনই উচিৎ ছিলো এই অংশের একটি নতুন, স্বতন্ত্র নাম দিয়ে আলাদা করা। সেটা হয়নি, এটি একটি অপূর্ণতা। তাছাড়া আমাদের দেশে একটি প্রচলিত রীতি আছে – যে জায়গায় দাপ্তরিক কার্যালয় অবস্থান করে সেই দপ্তরের/প্রতিষ্ঠানের নাম সেই স্থানের নাম অনুসারেই হয়ে থাকে (দুই একটি ব্যতিক্রম ছাড়া। এপ্রসঙ্গে উদাহরন দেবার কোন প্রয়োজন নেই, অসংখ্য উদাহরন আশেপাশে বিরাজমান। সুনামগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শান্তিগন্জ বাজারে কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের নাম “দক্ষিণ সুনামগঞ্জ “! একটু অবাক না হওয়াটা অস্বাভাবিক নয় কি? শুরুতে ভুল ছিলো, তাই বলে এখন সংশোধন করা যাবেনা, এমনতো কোন কথা নেই।
চিন্তা করে দেখুন – একসময়ের সিলেট জেলা আজ চারটি জেলায় বিভক্ত যার একটি আমাদের সুনামগঞ্জ। তথাকথিত সেই উত্তর / দক্ষিণের সূত্রমতে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ইত্যাদি জেলার নাম না হয়ে আজ ‘সিলেট উত্তর ‘ ‘সিলেট দক্ষিণ ‘ ‘সিলেট পশ্চিম ‘ ইত্যাদি হতে পারতো। তা না হয়ে সুনামগঞ্জ / মৌলভীবাজার আলাদা নামে জেলা কেন হলো? সেই একই কারণে একটি স্বতন্ত্র উপজেলার স্বতন্ত্র নাম থাকাটাই বেশী সমীচীন নয় কি? দুই – ‘দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ‘ নামটি আঁকড়ে ধরে রাখার মত সাংস্কৃতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক কোন জোড়ালো প্রেক্ষাপট আছে কি?
নিজ অঞ্চলের প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল অনুভূতির আরেক নাম দেশপ্রেম – এটা আমার বিশ্বাস। (রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এর কলেবর বৃহৎ)
সংগত কারণেই পূর্ব পাকিস্তান থেকে আজকের ‘বাংলাদেশের’ উত্থান। অন্যের অস্তিত্বকে স্বীকার করে নিয়ে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখার নামই জাতীয়তাবাদ। আমিতো আরেকজনের ঐতিহ্যের বিলুপ্তি চাচ্ছিনা,শুধু আমার নিজস্ব একটি পরিচয় চাচ্ছি – এই দাবিটুকু অন্যায় নয় বলেই বিশ্বাস রাখতে চাই।
লেখক প্রবাসী
বর্তমান সময়ে বেশ আলোচিত এই টপিক নিয়ে যেকোনো আলোচনা, পর্যালোচনা, পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ছি এবং নিজেকে সমৃদ্ধ করার প্রয়াস চালু রেখেছি। এসম্পর্কে আমার নিজস্ব কোন বিশ্লেষণ নেই, কারণ আগেই ব্যাখ্যা করেছি।আমি শুধু দুটি বিষয়ে একটু ক্রিটিক্যাল এনালাইসিস বা বুদ্ধিভিত্তক পর্যালোচনার অনুরোধ রাখবো, সবাইকে, উন্মুক্তভাবে। এক – আসলে বৃহদায়তনের কোন প্রতিষ্ঠান/ দপ্তরকে ভেঙে আলাদা করা হয় কেন? সেবার মান উন্নয়ন, সেবাকে সহজলভ্য করার উদ্দেশ্যে। যেহেতু আয়তন ভিত্তিক কোন প্রতিষ্ঠানের সেবা মানুষের দোড়গোরায় পৌঁছে দেবার লক্ষ্যেই ভেঙ্গে ছোট করা হয় যাতে সার্ভিস ডেলিভারি হাতের নাগালে পাওয়া যায়, জনগণের যাতায়াত সহজসাধ্য হয়, সেহেতু এর শুরুতেই খন্ডিত অংশের স্বতন্ত্র নামকরণ, আত্মপরিচয় ইত্যাদি স্পষ্ট করে করা উচিৎ।
সুনামগঞ্জ উপজেলাকে যখন দু’ভাগে বিভক্ত করা হল তখনই উচিৎ ছিলো এই অংশের একটি নতুন, স্বতন্ত্র নাম দিয়ে আলাদা করা। সেটা হয়নি, এটি একটি অপূর্ণতা। তাছাড়া আমাদের দেশে একটি প্রচলিত রীতি আছে – যে জায়গায় দাপ্তরিক কার্যালয় অবস্থান করে সেই দপ্তরের/প্রতিষ্ঠানের নাম সেই স্থানের নাম অনুসারেই হয়ে থাকে (দুই একটি ব্যতিক্রম ছাড়া। এপ্রসঙ্গে উদাহরন দেবার কোন প্রয়োজন নেই, অসংখ্য উদাহরন আশেপাশে বিরাজমান। সুনামগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শান্তিগন্জ বাজারে কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের নাম “দক্ষিণ সুনামগঞ্জ “! একটু অবাক না হওয়াটা অস্বাভাবিক নয় কি? শুরুতে ভুল ছিলো, তাই বলে এখন সংশোধন করা যাবেনা, এমনতো কোন কথা নেই।
চিন্তা করে দেখুন – একসময়ের সিলেট জেলা আজ চারটি জেলায় বিভক্ত যার একটি আমাদের সুনামগঞ্জ। তথাকথিত সেই উত্তর / দক্ষিণের সূত্রমতে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ইত্যাদি জেলার নাম না হয়ে আজ ‘সিলেট উত্তর ‘ ‘সিলেট দক্ষিণ ‘ ‘সিলেট পশ্চিম ‘ ইত্যাদি হতে পারতো। তা না হয়ে সুনামগঞ্জ / মৌলভীবাজার আলাদা নামে জেলা কেন হলো? সেই একই কারণে একটি স্বতন্ত্র উপজেলার স্বতন্ত্র নাম থাকাটাই বেশী সমীচীন নয় কি? দুই – ‘দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ‘ নামটি আঁকড়ে ধরে রাখার মত সাংস্কৃতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক কোন জোড়ালো প্রেক্ষাপট আছে কি?
নিজ অঞ্চলের প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল অনুভূতির আরেক নাম দেশপ্রেম – এটা আমার বিশ্বাস। (রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এর কলেবর বৃহৎ)
সংগত কারণেই পূর্ব পাকিস্তান থেকে আজকের ‘বাংলাদেশের’ উত্থান। অন্যের অস্তিত্বকে স্বীকার করে নিয়ে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখার নামই জাতীয়তাবাদ। আমিতো আরেকজনের ঐতিহ্যের বিলুপ্তি চাচ্ছিনা,শুধু আমার নিজস্ব একটি পরিচয় চাচ্ছি – এই দাবিটুকু অন্যায় নয় বলেই বিশ্বাস রাখতে চাই।
লেখক প্রবাসী
Tags:
সারাদেশ
পরিবর্তন চাই👈
ReplyDeleteদক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নাম চাই শান্তিগঞ্জ 👈