পিটারসেন জন্মভূমিকে কেন সমর্থন দেবেন না ?
এ প্রশ্ন এই প্রথম শুনতে হয়নি কেভিন পিটারসেনকে। নাটালে জন্ম নেওয়া এক
দক্ষিণ আফ্রিকান ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে নামছেন, এ তথ্য জানার পর থেকেই
শুনতে হচ্ছে তাঁকে। প্রশ্নটা আবারও করা হয়েছে এই ব্যাটসম্যানকে, ইংল্যান্ড ও
দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে কোন দলকে সমর্থন দিচ্ছেন পিটারসেন?
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন সময় এমন প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। এমন বিতর্কিত প্রশ্নের উত্তর সরাসরি দিয়ে দিয়েছেন পিটারসেন। টুইটারে সরাসরি বলে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম হতে পারে, এখন নিজের তাগিদে সেখানে নিয়মিত দেখা গেলেও ইংল্যান্ডের প্রতিই তাঁর সব আনুগত্য। বিশ্বকাপে তাই ইংল্যান্ডকেই সমর্থন দেবেন পিটারসেন।
২০০৪ সালে অভিষেক হলেও পিটারসেন আলোচনায় এসেছিলেন ২০০৫ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাঁর ইংল্যান্ডের হয়ে মাঠে নামা ইতিবাচকভাবে নেননি স্বাগতিক দর্শকেরা। মাঠে নামলেই তাঁকে দুয়ো দিয়েছেন স্বাগতিক দর্শক। বেইমান গালি শোনাটা খুব স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল। পিটারসেন যে কোন ধাতুতে গড়া, সেটা ওই সিরিজেই বোঝা গেছে। প্রতিকূল পরিবেশেও নিয়মিত ঝড় তুলেছেন। ৫ ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি আর এক ফিফটি করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন পিটারসেন।
পিটারসেনের ইংল্যান্ড প্রীতি অবশ্য এ কারণে নয়। তাঁর আজীবন লালিত স্বপ্ন ছিল টেস্ট খেলার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লর্ডসের মতো ভেন্যুতে অভিষেক করিয়ে সেটা পূরণ করেছে ইংল্যান্ড। পিটারসেন টুইটারেও প্রকাশ করেছেন সে কৃতজ্ঞতা, ‘বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ। মানুষ জিজ্ঞেস করছে কাকে সমর্থন দেব? আমি দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়েছিলাম একটা বালক হিসেবে এবং ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণের অবিশ্বাস্য এক সুযোগ পেয়েছিলাম। ইংল্যান্ড আমাকে সে সুযোগ দিয়েছে এবং আমি ১০৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি।
স্বপ্ন পূরণের সেসব দিন অনেক আগেই পেরিয়ে এসেছেন পিটারসেন। ২০১৪ সালে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ফেরার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু ব্যাট হাতে লড়াই করে ফিরতে পারেননি। এখন বন্য প্রাণীদের চোরা শিকারিদের হাত থেকে বাঁচাতে লড়াই করছেন। এ কারণে নিয়মিত দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ফলে অনেকে ভাবছেন, নিজের শিকড়ের প্রতি হয়তো টান বেড়েছে পিটারসেনের। কিন্তু এই ব্যাটসম্যান বলে দিয়েছেন, বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করলেও আনুগত্য ইংল্যান্ডের কাছেই থাকছে, ‘গত ৫/৬ বছরে আমি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি নতুন করে আবেগ অনুভব করছি। আফ্রিকার প্রাণীগুলো যেন বিলুপ্ত না হয়, এ জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করছি। আমরা ভাগ্যবান যে দুই দেশের মধ্যে আসা যাওয়ার মধ্য দিয়ে মজার জীবন কাটাচ্ছি। কিন্তু এসবের কিছুই সম্ভব হতো না, যদি ইংল্যান্ড আমাকে স্বপ্ন পূরণের সুযোগ না দিত। তাই আমি পুরোপুরি ইংল্যান্ডের দলে।’
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন সময় এমন প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। এমন বিতর্কিত প্রশ্নের উত্তর সরাসরি দিয়ে দিয়েছেন পিটারসেন। টুইটারে সরাসরি বলে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম হতে পারে, এখন নিজের তাগিদে সেখানে নিয়মিত দেখা গেলেও ইংল্যান্ডের প্রতিই তাঁর সব আনুগত্য। বিশ্বকাপে তাই ইংল্যান্ডকেই সমর্থন দেবেন পিটারসেন।
২০০৪ সালে অভিষেক হলেও পিটারসেন আলোচনায় এসেছিলেন ২০০৫ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাঁর ইংল্যান্ডের হয়ে মাঠে নামা ইতিবাচকভাবে নেননি স্বাগতিক দর্শকেরা। মাঠে নামলেই তাঁকে দুয়ো দিয়েছেন স্বাগতিক দর্শক। বেইমান গালি শোনাটা খুব স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল। পিটারসেন যে কোন ধাতুতে গড়া, সেটা ওই সিরিজেই বোঝা গেছে। প্রতিকূল পরিবেশেও নিয়মিত ঝড় তুলেছেন। ৫ ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি আর এক ফিফটি করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন পিটারসেন।
পিটারসেনের ইংল্যান্ড প্রীতি অবশ্য এ কারণে নয়। তাঁর আজীবন লালিত স্বপ্ন ছিল টেস্ট খেলার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লর্ডসের মতো ভেন্যুতে অভিষেক করিয়ে সেটা পূরণ করেছে ইংল্যান্ড। পিটারসেন টুইটারেও প্রকাশ করেছেন সে কৃতজ্ঞতা, ‘বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ। মানুষ জিজ্ঞেস করছে কাকে সমর্থন দেব? আমি দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়েছিলাম একটা বালক হিসেবে এবং ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণের অবিশ্বাস্য এক সুযোগ পেয়েছিলাম। ইংল্যান্ড আমাকে সে সুযোগ দিয়েছে এবং আমি ১০৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি।
স্বপ্ন পূরণের সেসব দিন অনেক আগেই পেরিয়ে এসেছেন পিটারসেন। ২০১৪ সালে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ফেরার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু ব্যাট হাতে লড়াই করে ফিরতে পারেননি। এখন বন্য প্রাণীদের চোরা শিকারিদের হাত থেকে বাঁচাতে লড়াই করছেন। এ কারণে নিয়মিত দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ফলে অনেকে ভাবছেন, নিজের শিকড়ের প্রতি হয়তো টান বেড়েছে পিটারসেনের। কিন্তু এই ব্যাটসম্যান বলে দিয়েছেন, বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করলেও আনুগত্য ইংল্যান্ডের কাছেই থাকছে, ‘গত ৫/৬ বছরে আমি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি নতুন করে আবেগ অনুভব করছি। আফ্রিকার প্রাণীগুলো যেন বিলুপ্ত না হয়, এ জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করছি। আমরা ভাগ্যবান যে দুই দেশের মধ্যে আসা যাওয়ার মধ্য দিয়ে মজার জীবন কাটাচ্ছি। কিন্তু এসবের কিছুই সম্ভব হতো না, যদি ইংল্যান্ড আমাকে স্বপ্ন পূরণের সুযোগ না দিত। তাই আমি পুরোপুরি ইংল্যান্ডের দলে।’
Tags:
খেলাধুলা