রাস্তার মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাফিলতির অভিযোগ
Published:
কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কে কয়েক শত বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সম্প্রসারণসহ পাকা করার কাজ করে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এসব খুঁটি সরাতে ও রাস্তা পুনরায় ঠিক করতে ব্যয় বাড়বে;
যার জন্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী।
কুষ্টিয়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল
ইসলাম বলেন, “কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী ২৮ কিলোমিটার এই সড়কে সাত শতাধিক বৈদ্যুতিক খুঁটির অধিকাংশ
পড়েছে রাস্তার মাঝখানে।
“বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ খুঁটি সরানোর কাজ করছে। তবে আরও
তিন মাস সময় লাগবে বলে তারা জানিয়েছে।”
তবে খুঁটি রেখেই রাস্তার কাজ চালিয়ে যাওয়ার নীতি ও
খুঁটি সরানোর পর আবার মেরামত ব্যয় হবে জেনেও এই কাজ কেন চালিয়ে যাচ্ছেন, এ বিষয়ে জিজ্ঞেস
করলে কিছু বলতে পারেননি প্রকৌশলী রফিকুল।
এছাড়া উচ্চ আদালত এসব খুঁটি এক মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার
নির্দেশ দিলেও খুঁটিগুলো সরানো হয়নি।
কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ বলেন,
“উচ্চ আদালতের বেঁধে দেওয়া এক মাস সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। এই অপরাধের দায়ে বিদ্যুৎ
কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত ব্যবস্থা নিতে পারে।”
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক
মিজানুর রহমান বলেন, “অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৬০-৭০টি খুঁটি সরানো হয়েছে। এখনও আরও বেশ কিছু
খুঁটি রাস্তার মাঝখানে রয়ে গেছে। সেগুলোও দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হবে।”
পল্লি বিদ্যুৎ ছাড়া এখানে ওজোপাডিকোর খুঁটিও রয়েছে।
কুষ্টিয়া ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম
বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি অপসারণপূর্বক নিরাপদ দূরত্বে স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।”
এদিকে কর্তৃপক্ষের এই গাফিলতির জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন
এলাকাবাসী।
কুমারখালীর স্কুলশিক্ষক কেএমআর শাহীন বলেন, “এসব খুঁটি
এখনও রাস্তার মাঝখানে থাকায় চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সব যানবাহন। এছাড়া কাজের উদ্দেশ্য
কী তা নিয়েও মানুষ প্রশ্ন তুলছে। খুঁটি রেখে কাজ চালিয়ে যাওয়াকে বিশেষ উদ্দেশ্যমূলক
মনে করছেন এলাকাবাসী।”
Tags:
সারাদেশ