অ্যাপলের ওপর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে নন হুয়াওয়ে–প্রধান
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের
বাণিজ্যযুদ্ধ আরও গতি পেলে বিপাকে পড়তে পারে আইফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান
অ্যাপল ইনকরপোরেশনও। মার্কিন এ প্রতিষ্ঠানটির মোট পণ্য বিক্রির ১৮ শতাংশ
বাজার চীন, তাইওয়ান ও হংকংয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। এর পাল্টা দিতে চীন যদি অ্যাপলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাহলে প্রতিষ্ঠানটিকে বড় একটি বাজার হারাতে হবে। অবশ্য আপাতত চীন সরকার কিছু বলছে না। অন্যদিকে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী রেন ঝেংফেই বলেছেন, ‘অ্যাপলের ওপর চীন সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে আমিই হব প্রথম প্রতিবাদকারী।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৫ মে হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ওই দিন ট্রাম্প প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে হুয়াওয়েকে যুক্তরাষ্ট্রে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করে। এতে সরকারের অনুমোদন ছাড়া মার্কিন কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রযুক্তিসেবা নেওয়ার পথ বন্ধ করা হয় হুয়াওয়ের জন্য। এরপরই অবশ্য হুয়াওয়ের ওপর বিধিনিষেধ তিন মাসের জন্য শিথিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে এই বাণিজ্যযুদ্ধের পরিণতি কী হবে, কে কতটুকু ক্ষতির মুখে পড়বে, এ নিয়ে নানা ধরনের বিশ্লেষণ চলছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেইয়ের একটি সাক্ষাৎকার নেয়। এতে চীন সরকার কর্তৃক অ্যাপলের ওপর তাঁর দেশের সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ঝেংফেই বলেন, ‘অ্যাপল আমার শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটি আমাদের এগিয়ে নিচ্ছে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে কীভাবে আমি শিক্ষকের বিরোধিতা করতে পারি।’
হুয়াওয়ে বিশ্বের শীর্ষ টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন বিক্রিতে তাদের অবস্থান দ্বিতীয়। ১৯৮৭ সালে রেন ঝেংফেইয়ের হাতে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠা। তিনি ছিলেন চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির একজন প্রকৌশলী। শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি ফোন সুইচ তৈরি করত। বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ফরচুন–এর তৈরি বিশ্বের সেরা ৫০০টি কোম্পানির তালিকায় এখন ৭২তম হুয়াওয়ে। ২০১৮ সালে তাদের পণ্য বিক্রির পরিমাণ ছিল ৭২ হাজার ১২০ কোটি ইউয়ান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ লাখ কোটি টাকার বেশি।
মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএনের এক খবরে গতকাল জানানো হয়, দেশটির বাজার বিশ্লেষক সংস্থা ফিচ রেটিং বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা স্মার্টফোনের বাজারে হুয়াওয়ের গতি কমিয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে স্যামসাংয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজার বাড়াতে পারে। কারণ মানুষ বিকল্প খুঁজবে।
চীনের বাজারে অ্যাপল
সিএনএনের খবরে বলা হয়, বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের বাজারে হুয়াওয়ে ৩ কোটি ফোন বিক্রি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে চীনে অ্যাপলের আইফোন বিক্রির পরিমাণ কমেছে ৩০ শতাংশ।
সিএনএন বলছে, তারপরও চীন অ্যাপলের জন্য একটি বড় বাজার। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপল যে পরিমাণ পণ্য বিক্রি করেছে, তার ১৮ শতাংশ গেছে চীন, তাইওয়ান ও হংকংয়ে। গত মাসে অ্যাপলের সিইও টিম কুক এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, চীনের বাজারে আইফোন বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়া উচিত।
পি৩০–এর দামে ধস
জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুয়াওয়ের নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোন পি৩০-এর পুনর্বিক্রয় মূল্যে বড় ধরনের ধস নেমেছে। বছরের সেরা ফ্ল্যাগশিপের তকমা পাওয়া ফোনটি ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট কেনাবেচার ওয়েবসাইটে ১৩০ ডলার দাম হাঁকা হচ্ছে। অথচ এর বাজারমূল্য ১ হাজার ১৫০ ডলার।
ফোর্বস জানায়, যুক্তরাজ্যের ব্যবহৃত ফোন কেনাবেচার একটি ওয়েবসাইটে স্যামসাংয়ের এস ১০+ মডেলের ফোনটি ৬৫০ ডলার পর্যন্ত দামে পাওয়া যায়। অথচ প্রায় একই দামের হুয়াওয়ে পি৩০ মেলে অনেক কম দামে। ফোর্বস-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বছরের শুরুতে দারুণ নকশা ও ভালো ক্যামেরার জন্য পি৩০ সবার নজরে এসেছিল। বাণিজ্যযুদ্ধ যে সংকটে ফেলেছে, তা কাটিয়ে উঠতে হুয়াওয়ের ভরসা তাদের সক্ষমতা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। এর পাল্টা দিতে চীন যদি অ্যাপলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাহলে প্রতিষ্ঠানটিকে বড় একটি বাজার হারাতে হবে। অবশ্য আপাতত চীন সরকার কিছু বলছে না। অন্যদিকে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী রেন ঝেংফেই বলেছেন, ‘অ্যাপলের ওপর চীন সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে আমিই হব প্রথম প্রতিবাদকারী।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৫ মে হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ওই দিন ট্রাম্প প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে হুয়াওয়েকে যুক্তরাষ্ট্রে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করে। এতে সরকারের অনুমোদন ছাড়া মার্কিন কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রযুক্তিসেবা নেওয়ার পথ বন্ধ করা হয় হুয়াওয়ের জন্য। এরপরই অবশ্য হুয়াওয়ের ওপর বিধিনিষেধ তিন মাসের জন্য শিথিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে এই বাণিজ্যযুদ্ধের পরিণতি কী হবে, কে কতটুকু ক্ষতির মুখে পড়বে, এ নিয়ে নানা ধরনের বিশ্লেষণ চলছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেইয়ের একটি সাক্ষাৎকার নেয়। এতে চীন সরকার কর্তৃক অ্যাপলের ওপর তাঁর দেশের সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ঝেংফেই বলেন, ‘অ্যাপল আমার শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটি আমাদের এগিয়ে নিচ্ছে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে কীভাবে আমি শিক্ষকের বিরোধিতা করতে পারি।’
হুয়াওয়ে বিশ্বের শীর্ষ টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন বিক্রিতে তাদের অবস্থান দ্বিতীয়। ১৯৮৭ সালে রেন ঝেংফেইয়ের হাতে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠা। তিনি ছিলেন চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির একজন প্রকৌশলী। শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি ফোন সুইচ তৈরি করত। বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ফরচুন–এর তৈরি বিশ্বের সেরা ৫০০টি কোম্পানির তালিকায় এখন ৭২তম হুয়াওয়ে। ২০১৮ সালে তাদের পণ্য বিক্রির পরিমাণ ছিল ৭২ হাজার ১২০ কোটি ইউয়ান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ লাখ কোটি টাকার বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন
এখন চীন যদি অ্যাপলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাহলে প্রতিষ্ঠানটি বড় বাজার হারাবে
অ্যাপলের ১৮ শতাংশ বাজার চীন, তাইওয়ান ও হংকংয়ে
হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা বললেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে তিনিই প্রথম প্রতিবাদ করবেন
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা হুয়াওয়েকে বাজার ধরে রাখার ক্ষেত্রে বিরাট
চ্যালেঞ্জে ফেলেছে। অবশ্য হুয়াওয়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠান গুগলের অ্যান্ড্রয়েড
অপারেটিং সিস্টেমের বদলে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম বাজারে নিয়ে আসার চিন্তা
করছে।এখন চীন যদি অ্যাপলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাহলে প্রতিষ্ঠানটি বড় বাজার হারাবে
অ্যাপলের ১৮ শতাংশ বাজার চীন, তাইওয়ান ও হংকংয়ে
হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা বললেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে তিনিই প্রথম প্রতিবাদ করবেন
মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএনের এক খবরে গতকাল জানানো হয়, দেশটির বাজার বিশ্লেষক সংস্থা ফিচ রেটিং বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা স্মার্টফোনের বাজারে হুয়াওয়ের গতি কমিয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে স্যামসাংয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজার বাড়াতে পারে। কারণ মানুষ বিকল্প খুঁজবে।
চীনের বাজারে অ্যাপল
সিএনএনের খবরে বলা হয়, বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের বাজারে হুয়াওয়ে ৩ কোটি ফোন বিক্রি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে চীনে অ্যাপলের আইফোন বিক্রির পরিমাণ কমেছে ৩০ শতাংশ।
সিএনএন বলছে, তারপরও চীন অ্যাপলের জন্য একটি বড় বাজার। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপল যে পরিমাণ পণ্য বিক্রি করেছে, তার ১৮ শতাংশ গেছে চীন, তাইওয়ান ও হংকংয়ে। গত মাসে অ্যাপলের সিইও টিম কুক এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, চীনের বাজারে আইফোন বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়া উচিত।
পি৩০–এর দামে ধস
জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুয়াওয়ের নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোন পি৩০-এর পুনর্বিক্রয় মূল্যে বড় ধরনের ধস নেমেছে। বছরের সেরা ফ্ল্যাগশিপের তকমা পাওয়া ফোনটি ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট কেনাবেচার ওয়েবসাইটে ১৩০ ডলার দাম হাঁকা হচ্ছে। অথচ এর বাজারমূল্য ১ হাজার ১৫০ ডলার।
ফোর্বস জানায়, যুক্তরাজ্যের ব্যবহৃত ফোন কেনাবেচার একটি ওয়েবসাইটে স্যামসাংয়ের এস ১০+ মডেলের ফোনটি ৬৫০ ডলার পর্যন্ত দামে পাওয়া যায়। অথচ প্রায় একই দামের হুয়াওয়ে পি৩০ মেলে অনেক কম দামে। ফোর্বস-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বছরের শুরুতে দারুণ নকশা ও ভালো ক্যামেরার জন্য পি৩০ সবার নজরে এসেছিল। বাণিজ্যযুদ্ধ যে সংকটে ফেলেছে, তা কাটিয়ে উঠতে হুয়াওয়ের ভরসা তাদের সক্ষমতা।
Tags:
অর্থনীতি